মাগুরা প্রতিনিধিঃ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাগুরার মহম্মদপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। স্বাধীনতার মহান স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করছে।
তারই ধারাবাহিকতায় মাগুরা জেলার মহম্মদপুরেও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, ১ মিনিট নিরবতা পালন ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এবছরও বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতপূর্বক স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
প্রথমে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।এরপর পর্যায়ক্রমে উপজেলা আওয়ামী লীগ, মাননীয় এমপি মাগুরা-২ এর পক্ষে,পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ,ফায়ার সার্ভিস,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ জনতা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।
ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব , বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। ইতিহাসের এই জঘন্যতম ও ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর দু’কন্যা আজকের বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশ গড়ার কারিগর মমতাময়ী, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্টের সকল বীর শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।